না জেনে মন্তব্য করলে ইসলামে তার শাস্তি কি।কোন বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে কি।ফেসবুকে মন্তব্য

 না জেনে মন্তব্য করলে ইসলামে তার শাস্তি কি।কোন বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে কি।ফেসবুকে মন্তব্য।






 



বর্তমানে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে  মন্তব্য করতে অনেক পটু।যে কোন আবহ বা ঘটনা আমাদের সামনে প্রতীয়মান হলে,আমরা খুব সুন্দরভাবে সেটাকে বিশ্লেষণ করে, মন্তব্য করছি। অথচ সে বিষয়ে আমরা সঠিকভাবে জানিনা,জানিনা প্রকৃত কারণ বা ঘটনাটা কি।আমরা সব সময় ইসলামিক জিবন বিধানের উল্টোপথে চলার চেষ্টা করি।আপনার একবারও  কি মনে হয় না ? অনুমানের উপর অহেতুক মন্তব্য,বিশ্লেষণ আপনার জন্য কাল কেয়ামতের মাঠে বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারে! 


মহান আল্লাহ সুবহানআল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,,,,
যে  বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়ো না। নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় ওদের প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে। 
 (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৬)


অথচ আজ আমরা স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছি।যে কোন বিষয়,ঘটনা এমনকি মৃত ব্যাক্তিকে নিয়ে  মন্তব্য করতে বাদ দিচ্ছি না।আমরা আজ কোথায় অবস্থান করছি? বড় দূঃখের বিষয়! কোন ব্যাক্তি মৃত্যুবরণ করলে আমরা সেই ব্যাক্তির খারাপ কাজের  সমালোচনা শুরু করি,কিভাবে মৃত্যু হলো? ভালো মৃত্যু না খারাপ মৃত্যু?  শুরু করি চুলচেরা বিশ্লেষণ। অথচ এ বিষয়ে মানুষের জ্ঞান খুবই সীমিত। মহান আল্লাহ সুবহানআল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।কিন্তু আপনি জানেন কি অহেতুক  সমালোচনা করা,মন্তব্য করার অধিকার ইসলাম আপনাকে দেয় নি। বরং মৃত ব্যাক্তির বিষয়ে অনুমান,সমালোচনা এবং খারাপ মন্তব্যের কারণে আপনি পরকালে ধরাশায়ী হতে পারেন! 

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,,, ‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’
 (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০০)


অথচ আজ আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে অহেতুক মানুষের  নানা বিষয়,নানা ঘটনা,খারাপ মন্তব্য এবং  সমালোচনার নামে গীবতে ব্যস্ত।সদা ব্যস্ত।আপসোস!!! 


আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,,, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা অধিকাংশ (অহেতুক) অনুমান থেকে দূরে থাক। কারণ (অহেতুক) অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ।
 (সুরা হুজরাত : আয়াত ১২)


কোন  মানুষ ভুল-ত্রুটির উর্ধ্বে নয়,আমি আপনিও তার ব্যতিক্রম নয়।তবে 

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা বিনা অপরাধে ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৫৮)এ কারণেই









وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ

‘কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ১৫)

- كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ رَهِينَةٌ

‘প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী।’ (সুরা মুদ্দাসসির : আয়াত ৩৮)


                         ~~~এ.বি.এম. ওয়ায়েছ কুরনী 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.