স্বার্থ ছোটগল্প। স্বার্থ। এবিএম ওয়ায়েছ কুরনী। Abm wayes kurani। অসাধারণ ছোটগল্প
স্বার্থ
লেখকঃ এবিএম ওয়ায়েছ কুরনী
আমি সাজিদ সাত বছর পরে দেশের মাটিতে প্রথম পা রাখলাম,যুগের সাথে তালমিলিয়ে চারিদিকে অনেক পরিবর্তন লক্ষ করলাম।আমাদের ছোটবেলার খেলার মাঠ আজ আধুনিকতার ইট-পাথরে হারিয়ে গিয়েছে। এই কলোনির বাচ্চারা কোথায় খেলাধুলা করে জানি না!
এই পৃথিবীর সবকিছু হয়তো একটা নির্দিষ্ট সময় পর আগের মতো থাকে না! চলে যায় সময় আর বদলে যায় আমাদের রুপ আর রঙ ঢং।যেমন আমার কাজিনরা, সময়ের ব্যাবধানে তারাও আজ বড্ড বেশি ভালোমানুষ।
কাজিনরা আমাকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে এসেছিল।আমার কাজিনরা সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে। তবে অবাক করার বিষয় হলো সাত বছর আগে আমার এই কাজিনরাই, তাদের বাসা থেকে আমাকে কুকুরের মতো বের করে দিতে চেয়েছিলো।আমি কাজিনদেরকে দোষ দিবো না কারণ আমি বুঝতে পেরেছিলাম প্রধান কলকাঠি নাড়ছেন আমার চাচা-চাচী, নিরব দর্শকের ভূমিকায়। তখন সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল আর এখন সবাই আমাকে ভালোবাসে। বাস্তবতা মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়।
আমি নদীর ধারে আমার প্রিয় জায়গাটাতে দাড়িয়ে আছি।এখানেই আমার আর তুলির শেষ কথা, শেষ দেখা,সবকিছুরই শেষ হয়েছিল।আমার অপরাধ ছিলো, আমার বাবা-মা রোড এক্সিডেন্টে মারা যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলাম।
তুলি আমার মুখের উপরে বলেছিল,তোমার কি আছে? তুমি আমাকে আটকাতে চাও?
সেদিন নিরবে অনেক কেঁদেছিলাম,তাকে হারাবার বেদনায়।তারপর কাজিনরাও আমাকে অবহেলা আর অবজ্ঞা শুরু করতে লাগলো,বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইলো।অবশেষে আমার জীবনের একটি সেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমাদের বাড়িটা নামমাত্র দামে চাচা আমার কাছ থেকে লিখে নিয়েছিল। যা দিয়ে আমি প্রবাস জীবন বেঁছে নিয়েছিলাম। আজ সবাই আমাকে পেতে চাই,আমার সাথে মিশতে চায়,সম্পর্ক গড়তে চায়।
আজ আমার সবকিছু আছে তবুও প্রিয় মানুষদেরকে আজও অনেক মিস করি। ও বলতে ভুলে গিয়েছি, আমাকে ছেড়ে তুলি একজন ধনীর দুলালকে বিয়ে করেছিল।পরে জানতে পারি তুলির স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে এবং এক পর্যায় মানুষিক অশান্তিতে তুলি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
আমার জীবনে তুলির অনেক অবদান আছে,তুলির কারণেই অনুধাবন করতে পেরেছিলাম অর্থ বিত্ত আমাদের জীবনে কতটা প্রয়োজন! আমি মন থেকে চাইতাম, তুলি অন্যের জীবন রঙিন করলেও ভালো থাকুক। সবাইকে নিয়ে সুখে থাকুক।এখনো চাই, ওপারে তুলি ভালো থাকুক।আর এজন্যই তুলির জন্য আগামী শুক্রবার ছোটখাটো পরিসরে একটি দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।আপনারা আমার হারিয়ে যাওয়া তুলির জন্য দোয়া করবেন।
#স্বার্থ
লেখাঃ এবিএম ওয়ায়েছ কুরনী
এই পৃথিবীর সবকিছু হয়তো একটা নির্দিষ্ট সময় পর আগের মতো থাকে না! চলে যায় সময় আর বদলে যায় আমাদের রুপ আর রঙ ঢং।যেমন আমার কাজিনরা, সময়ের ব্যাবধানে তারাও আজ বড্ড বেশি ভালোমানুষ।
কাজিনরা আমাকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে এসেছিল।আমার কাজিনরা সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে। তবে অবাক করার বিষয় হলো সাত বছর আগে আমার এই কাজিনরাই, তাদের বাসা থেকে আমাকে কুকুরের মতো বের করে দিতে চেয়েছিলো।আমি কাজিনদেরকে দোষ দিবো না কারণ আমি বুঝতে পেরেছিলাম প্রধান কলকাঠি নাড়ছেন আমার চাচা-চাচী, নিরব দর্শকের ভূমিকায়। তখন সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল আর এখন সবাই আমাকে ভালোবাসে। বাস্তবতা মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়।
আমি নদীর ধারে আমার প্রিয় জায়গাটাতে দাড়িয়ে আছি।এখানেই আমার আর তুলির শেষ কথা, শেষ দেখা,সবকিছুরই শেষ হয়েছিল।আমার অপরাধ ছিলো, আমার বাবা-মা রোড এক্সিডেন্টে মারা যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলাম।
তুলি আমার মুখের উপরে বলেছিল,তোমার কি আছে? তুমি আমাকে আটকাতে চাও?
সেদিন নিরবে অনেক কেঁদেছিলাম,তাকে হারাবার বেদনায়।তারপর কাজিনরাও আমাকে অবহেলা আর অবজ্ঞা শুরু করতে লাগলো,বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইলো।অবশেষে আমার জীবনের একটি সেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমাদের বাড়িটা নামমাত্র দামে চাচা আমার কাছ থেকে লিখে নিয়েছিল। যা দিয়ে আমি প্রবাস জীবন বেঁছে নিয়েছিলাম। আজ সবাই আমাকে পেতে চাই,আমার সাথে মিশতে চায়,সম্পর্ক গড়তে চায়।
আজ আমার সবকিছু আছে তবুও প্রিয় মানুষদেরকে আজও অনেক মিস করি। ও বলতে ভুলে গিয়েছি, আমাকে ছেড়ে তুলি একজন ধনীর দুলালকে বিয়ে করেছিল।পরে জানতে পারি তুলির স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে এবং এক পর্যায় মানুষিক অশান্তিতে তুলি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
আমার জীবনে তুলির অনেক অবদান আছে,তুলির কারণেই অনুধাবন করতে পেরেছিলাম অর্থ বিত্ত আমাদের জীবনে কতটা প্রয়োজন! আমি মন থেকে চাইতাম, তুলি অন্যের জীবন রঙিন করলেও ভালো থাকুক। সবাইকে নিয়ে সুখে থাকুক।এখনো চাই, ওপারে তুলি ভালো থাকুক।আর এজন্যই তুলির জন্য আগামী শুক্রবার ছোটখাটো পরিসরে একটি দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।আপনারা আমার হারিয়ে যাওয়া তুলির জন্য দোয়া করবেন।
#স্বার্থ
লেখাঃ এবিএম ওয়ায়েছ কুরনী
#Abmwayeskurani
কোন মন্তব্য নেই