ওয়েজ কুরনীর জীবনী।উয়াস করনি জীবনী।অয়েজ কুরনি।উয়াইস করনি।ways kurni।

 ওয়াস কুরনির জীবনীঃ

বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত থেকে যেটা জানা যায়,সেটা নিচে তুুুলে ধরা হলো।


ওয়াস কুরনি (রহিমাহুল্লাহ) আল্লাহর
ইবাদতে এতই মশগুল থাকতেন যে নিজের
দেহের প্রতি কোন খেয়ালই করতেন
না।তিনি দেখতে ছিলেন উজ্জ্বল
ফর্সা মধ্যমা আকৃতির,চোখ দুটি ছিল
নীল সমুদ্রের মত, মাথার চুল ছিল আলু-
থালু ,উস্ক-শুস্ক । তিনি এতই ইবাদত
করতেন যে খাওয়া,ঘুম কাহাকে বলে
তা তিনি জানতেন না। এত কঠোর
ইবাদতের ফলে তার পেট পিঠের
সাথে লেগে গিয়েছিল,সারা শরীর
ধনুকের মত বাঁকা হয়ে গিয়েছিল।সারা
দেহে মাংস বলতে কিছুই ছিল না,ছিল
শুধু হাড় । দূর থেকে তাহার দেহের সব
হাড় গুলি একটা একটা করে গোনা
যেত। তিনি শত ছিন্ন তালি দেওয়া
কাপড় পড়তেন। সাধারণ মানুষ দেখে
তাকে রাস্তার পাগল বলে উপহাস করে
পাথর ছুড়ে মারতো,পাথরের আঘাতে
ফিনকি দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হত। তবুও
ওয়াস করনি কখনও কাউকে অভিশাপ
দিতেন না ।তিনি শুধু এই কথাই বলতেন
যে " ভাই দয়া করে আমাকে ছোট ছোট
পাথর মারুন,যাতে পাথরের আঘাতে
রক্ত প্রবাহিত হওয়ার কারনে আমার অজু
যেন না ভেঙ্গে যায় " ওয়াস করনি
দিন- রাত ২৪ ঘণ্টা নামাজ পড়তেন।
দেখে মনে হত নামাজই ছিল তার দিন
রাতের খাবার। তিনি ছিলেন বড়ই
মাতৃ ভক্ত, মায়ের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে
পালন করতেন।শুধু তাই নয় তিনি
যেখানেই যেতেন মাকে ঘাড়ে
উঠিয়ে নিয়ে যেতেন।এক মুহূর্তের জন্য
তাহার মাকে মাটিতে পা ফেলতে
দিতেন না। কত বড় মায়ের ভক্ত হলে
এমনটি করা যায়, এ বড় ভাবনার বিষয় ।

ওয়াস করনির সংক্ষিপ্ত জীবনিঃ-
ওয়াস করনির পিতা আব্দুল্লাহ ছিলেন
একজন মস্ত বড় ইহুদি ধর্মের আলেম।
এলাকায় তার খুব নাম যশ ছিল। ওয়াস
করনির বয়স যখন মাত্র ১০ বছর তখন তাহার
পিতা হঠাৎ মারা যাওয়ায় সংসারের
সকল দায়িত্ব তার ওপর আরোপিত হয়।
পিতার মৃত্যুতে তাদের আর্থিক অভাব
অনটনে দিন অতিবাহিত হতে থাকে।
কখনও এমনও দিন গেছে যে শুধু পানি
খেয়ে দিন অতিবাহিত হয়েছে।
তিনি বছরের অধিকাংশ দিনই রোযা
রাখতেন।দিনের শেষে শুধু একটি খেজুর
দিয়ে ইফতার করতেন।যেদিন বেশি
খেজুর ক্রয় করতেন সেদিন দুইটা একটা
খেজুর রেখে বাকি সবই ফকির
মিসকিনদের বিলিয়ে দিতেন। শত
অভাবে তিনি কারো কাছে হাত
পাততেন না।ওয়াস করনির বহু আমির ভক্ত
ছিল যারা দামি দামি কাপড়, টাকা
পয়সা দিয়ে ওয়াস করনিকে সাহায্য
করতে চাইত,কিন্তু ওয়াস করনি তা
ফিরিয়ে দিয়ে শুধু বলতেন "আমার
দয়াল নবী (সাঃ) ই যখন উম্মতের জন্য সকল
আরাম আয়েশ ছেড়ে দিলেন, তখন আমি
তার গোলাম হয়ে কিভাবে আরাম
আয়েশ করতে পারি ???" ।ক্রমেই যখন
ওয়াস করনি খ্যাতি বাড়তে থাকে তখন
তিনি তার মাকে নিয়ে জঙ্গলে আত্ম
গোপন করেন,যাতে মানুষের কারনে
তার ইবাদত করতে কোন প্রকার অসুবিধা
না হয়। ওয়াস করনি প্রাথমিক জীবনে
হযরত মুসা নবীর অনুসারি অর্থাৎ ইহুদি
ছিলেন।পরবর্তীতে আসমানি
কিতাবে শেষ পয়গম্বর মুহাম্মাদ (স) এর
আগমনের খবর পেয়ে এক মুসলমান
আউলিয়ার কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন
এবং সেই সাথে তাহার মাতাকে ও
ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন।এভাবে
সারা জীবন আল্লাহ্ ও রাসুলের
প্রেমে নিজেকে উজার করে দিয়ে
অবশেষে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন।
ওয়াস করনির গুনাবলি ও অলৌকিক
ক্ষমতা :-
১। নবীর প্রেমে নিজের ৩২ টা দাঁত
ভেঙ্গে ফেলাঃ- ওহুদের যুদ্ধে মহা
নবী (স) এর যখন একটি দাঁত যখন শত্রু
আঘাতে ভেঙ্গে যায়।তখন ওয়াস করনি
ইয়েমেন থেকে ২০০ মাইল দূর থেকে এই
সংবাদ বাতিনি দৃষ্টিতে জানতে
পেরে নবীর প্রেমে পাগল হয়ে
আল্লাহ্কে জিজ্ঞাস করলেন " ইয়া
মাবুদ ইলাহি আমার দয়াল নবীর কোন
দাঁত টা শহীদ হয়েছে আমাকে দয়া
করে একটু জানান।আল্লাহ্ তালা ওয়াস
করনিকে পরীক্ষা করার জন্য সেদিন
নবী (স) এর কোণ দাত টা শহীদ হয়েছে
তা ওয়াস করনিকে জানতে দেন নি।
ওয়াস করনি নবীর ব্যাথায় ব্যাথিত
হয়ে সেদিন পাথর দিয়ে নিজের একে
একে ৩২ টা ছেঁচিয়া ফেলে দেন।

রাসুলুল্লাহ (স) এর গায়ের জুব্বা প্রাপ্তিঃ-
রাসুলুল্লাহ (স) তাহার ইন্তেকালের
পূর্বে হযরত আলীকে ডেকে বললেন
"আমার গায়ের জুব্বা টা আমার মৃত্যুর পর
ওয়াস করনিকে
পৌঁছে দিয়ো




এছাড়া আরো অনেক তথ্য উপাত্ত বা কথা প্রচলিত আছে, তবে প্রমাণ না থাকায়, সেগুলো আর উল্লেখ করা হলো না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.